শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন
দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:: ২৫ আগস্ট দোহার থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ ১৭৪ জন এজাহার নামীয় এবং ২০০/২৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা হয়। এ মামলার প্রধান আসামী দোহার নবাবগঞ্জের সাবেক এমপি ও শেখ হাসিনার বেসরকারী শিল্প বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজুলর রহমান। মামলা হওয়ার খবরে দোহার নবাবগঞ্জের কয়েক হাজার নেতাকর্মী পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ক্ষুদে বার্তায় জানায়, মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ফাঁসিয়ে এলাকা ছাড়া করা হচ্ছে। অনেক নিরীহ মানুষকেও হয়রানি করা হচ্ছে। দোহারে ছাত্র আন্দোলনে কেউ আহত বা নিহত হয়নি। শুধু রাজনৈতিক হয়রানিই তাঁদের লক্ষ্য।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ৪ আগস্ট (রোববার) বেলা ১২ টায় দোহার উপজেলার করম আলীর মোড় এলাকায় আন্দোলনরত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ আগস্ট দোহার থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মাঝি। তবে তিনি বলেন, শুধু বিলাশপুর এলকার ৫/৬ জন আমার উপর হামলা করে।
শাহজাহান মাঝি বলেন, এ মামলার অন্যতম বিবাদী কার্গো ও জাহাজ ব্যবসায়ীর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবিরকে তিনি আসামী করেননি। তারপরেও সে কিভাবে আসামী হলো তিনি জানেন না। মাঝি আরো বলেন, সে মেহবুব কবিরের পক্ষে উপজেলা নির্বাচনও করেছেন তিনি।
এবিষয়ে মামলার ৬নং আসামী ইঞ্জিনিয়ার মেহবুব কবির বলেন, আমি কোন রাজনৈতিক দলের প্রাথমিক সদস্য নই। আমি ব্যবসা করি। তিনি ২৬ জুলাই ব্যবসায়িক কাজে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ছিলেন। ১৬ আগষ্ট দেশে ফিরেছেন(তথ্য প্রমাণ আছে)। সালমান এফ রহমান ও তাঁর অন্যতম সহযোগী উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার সময়ে তাঁকে বেশ নির্যাতন করেছেন।
তিনি তাঁর ফেসবুক পেইজে লাইভে বলেছেন, যারা আমাকে নির্যাতন করে নিবার্চনী মাঠে ও এলাকায় থাকতে দেয়নি তাঁদের সাথে আমাকে মামলায় জড়ানোর বিষয়টি অমানবিক ও হাস্যকর। আমি প্রশাসনও সরকারের কাছে এর ন্যায় বিচার চাই।
মামলার ৬২ নং আসামী বাসার মুন্সি বলেন, যে ঘটনার অভিযোগে মামলা হয়েছে সেদিন তিনি ঢাকা পাসপোর্ট অফিসে কাজে ছিলেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. ওমর ফারুক বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ কাউকে আসামী করেনি।